Shongmkhomul( শঙ্খমূল গুড়া) 100gm

SKU: VJA21159
Seller: VesojE Agro

Tk 450
Tk 500
Tk 500
10% OFF


শঙ্খমূল আমাদের অনেকের পরিচিত ভেষজ উদ্ভিদ। সাধারণত শরৎকালে অর্থাৎ সেপ্টেম্বর-অক্টোবর মাসে এ গাছের মূল হয় এবং মাঘ-ফাল্গুনে এর ফল পাকে। কাঁচা অবস্থায় এর ফল সবুজ এবং পাকলে লাল হয়। এই উদ্ভিদের গোড়ায় একধরনের শামুরেকর মত মূল হয়, এ মূলকে শঙ্খমূল বলে। সাধারণত উষ্ণ ও নাতিশীতোষ্ণ পরিবেশে শঙ্খমূল গাছ ভালো জন্মে। আসুন আজ জেনে নিই ভেষজ এই উদ্ভিদটির উপকারীতা সম্পর্কে। 

রাসায়নিক উপাদানঃ শঙ্খমূল উচ্চমানের ফলিক অ্যাসিড ও পটাশিয়ামের খুবই ভালো একটি প্রাকৃতিক উৎস। এছাড়াও এতে আরও আছে ফাইবার, ভিটামিন এ, ভিটামিন বি৬। প্রতি ১০০ গ্রাম শঙ্খমূলতে প্রায় ৬০ শতাংশ ফলিক অ্যাসিড থাকে। শঙ্খমূল কাঁচা ও রান্না করে উভয়ভাবেই খাওয়া যায়। তবে রান্নার ক্ষেত্রে ভাপে রান্না বা কম সময় ধরে রান্না করা উচিত। এতে পুষ্টিমান ঠিক থাকে।
 
 
জেনে রাখি শঙ্খমূলের উপকারিতাঃ
১. রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে: শঙ্খমূলর আমাদের উচ্চ কিংবা নিন্ম উভয় ধরনের রক্ত চাপকেই নিয়ন্ত্রণে রাখতে অনেক সহায়তা করে। শঙ্খমূলর খেলে এতে থাকা পটাসিয়াম এবং বেশ কিছু উপকারী খনিজ উপাদান আমাদের রক্ত চাপ নিয়ন্ত্রণ করে থাকে।
২. আমাশয় ও কৃৃমি দূূর করে: আমাশয় হলে শঙ্খমূলর মূলর রস ৩-৪ চা চামচ ৩ থেকে ৭ দিন প্রতিদিন সকালে ও বিকালে আমাশয় ভালো হয়ে যায়। এছাড়াও এটি আমাদের অন্ত্রের কৃমি দূর করে এবং অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল হিসেবে কাজ করে।শঙ্খমূল মূলর রস আমাদের যকৃত এবং পিত্ত থলির নানা ইনফেকশন রোধে অসাধারণ দারুণ কাজ করে।
 
৩. শারীরিক দুর্বলতা রোধ করে: শঙ্খমূল স্নায়ুশক্তি বৃদ্ধি ও শারীরিক দুর্বলতা কাটাতে শঙ্খমূল অনেক কার্যকর। এজন্য শঙ্খমূলর রস ৩-৪শঙ্খমূল কার্যকর। শঙ্খমূলর পাউডার ৩-৪ চামচ নিয়ে ১ গ্লাস দুধের সাথে মিশিয়ে সকাল ও বিকেলে পান করুন। ১০-১৫ দিন পান করলে উপকার পাওয়া যাবে। এছাড়াও শারীরিক, যৌন দূর্বলতা ও মহিলাদের সাদা স্রাব এসব সমস্যায় এর ১০ গ্রাম পরিমান মূলচুর্ণ ১কাপ গরম দুধের সাথে মিশিয়ে দিনে দুবার পান করলে উপকার পাওয়া যায়। 
৪. শঙ্খমূল আমাদের হজমশক্তি বদ্ধি করে এবং বায়ু নিঃসরণে এটি দারুন কাজ করে। এজন্য শঙ্খমূলর ফল অল্প পরিমাণ তরকারি রান্না করে খেতে হবে। এছাড়াও বাত-ব্যাথা ও স্নায়ু দুর্বলতায় শঙ্খমূলর ছালের রসের সাথে রসুন পিসে একসাথে মিশিয়ে প্রলেপ দিলে ব্যাথা ভালো হয়ে যায়।
 
৫. রক্তামাশয়ে: রোগটি সহজ ভেবে ঔষধ দেওয়াটা সম্ভব হয় না, যদিও ফুড়ুৎ-ফুড়ুৎ করে আমের সঙ্গে একটু রক্ত যাচ্ছে। এখানে কোনো ঠান্ডা জিনিস খেলেও যে রক্তপড়া বন্ধ হবে তাও নয়, আবার কোনো উষ্ণগণুসম্পন্ন যেমন-আদা, মরিচ প্রভৃতি খেলে যে সেরে যাবে তাও নয়; যে দ্রব্যের প্রকৃতিটা বীর্যবত্তায় শীত উষ্ণে, সেই শীতোষ্ণ দ্রবই এক্ষেত্রে বেশী উপযোগী; তাই শতমূল বেটে রস করে ৪ চা চামচ আন্দাজ নিয়ে ৭/৮ চা চামচ দুধ মিশিয়ে প্রত্যহ সকালে ও বিকালে ২ বার খেলে। দুই এক দিনের মধ্যেই ওটা সেরে যাবে।
৬. রক্তমূত্রে: এক্ষেত্রে ১০/১৫ গ্রাম শঙ্খমূল বেটে, দুধের সঙ্গে জল মিশিয়ে পাক করে এক্ষেত্রে দুধ ১১৪ মিলিলিটার বা আধ পােয়া আন্দাজ আর জল ৫০০ মিলিলিটার বা আধ সের আন্দাজ দুগ্ধাবশেষ থাকতে নামিয়ে ছেকে সকালে অর্ধেকটা ও বিকালে অর্ধেকটা করে খেতে পারলে ভাল হয়। এর দ্বারা ঐ রক্তবর্ণ পরস্রাব আর থাকবে না।
 
৭. রাতকানা রোগে: এই রোগটির আয়ুর্বেদীয় বিজ্ঞান হচ্ছে প্রাকৃতিক নিয়মে সন্ধ্যায় তেজগুণের হ্রাস হয় এবং সোমগুণের আধিক্য ঘটতে থাকে, এটাতে স্বভাবতই কফের কাল এসে পড়লো, তার উপর সূর্যের আলোও চলে গেল, এদিকে অক্ষিগোলকের বিন্দুটি কফাবৃত হয়ে পড়লো।
৮. মূত্রকৃচ্ছ: পাথুরী যে হয়েছে তাও নয়, অথচ কষ্টে প্রস্রাব হচ্ছে, তখনই বুঝতে হবে যে, রসবাহ ও রক্তবহ স্রোত দূষিত হয়েছে; এক্ষেত্রে শুষ্ক শঙ্খমূলকে চূর্ণ করে ১ গ্রাম মাত্রায় সকালে ও বিকালে ঠান্ডা জলসহ খেলে ২ থেকে ৪ দিনের মধ্যে মূত্রের কৃচ্ছতা চলে যাবে।
 
৯. রক্তপিত্ত রোগ: এটা দীর্ঘদিন পুষে রাখলে যক্ষ্মা পর্যন্তও হতে পারে। এটা দেখা দিলে শঙ্খমূলর রস ৩/৪ চা-চামচ, দুধ আধ পোেয়া আন্দাজ আর দুধের সমান পরিমাণ পানি নিয়ে একসঙ্গে সিদ্ধ করে ঐ দুধটা অবশিষ্ট থাকতে নামিয়ে ঐটা সকালে খেতে হবে।
১০. স্তন্য শুষ্কতা: স্বাস্থ্য যে খারাপ তাও নয়, অথচ স্তনে দুধ নেই। এক্ষেত্রে শঙ্খমূলর রস ২ চা চামচ, দুধ ১১৪ মিলিলিটার বা আধ পােয়া আন্দাজ আর চিনি এক চ চামচ, একসঙ্গে সরবত করে সকালে একবার ও বিকালের দিকে একবার খেতে হবে; এর দ্বারা ৩/৪ দিন পর থেকে বুকে দুধ আসবে।
 




Customer Questions and answers :

Login to ask a question