Jambigm Powder ( জাম বীজ গুড়া ) 150gm

SKU: VJA37999
Seller: VesojE Agro

Tk 108
Tk 120
Tk 120
10% OFF


আমরা সাধারনত জাম খেয়ে জামের বীজ ফেলে দেই, কিন্তু আমরা জানিনা এই জামের বীজের উপকারী গুনাগুন। আয়ুর্বেদী চিকিৎসায় এর গুনাগুন অপরিশীম। প্রথমে জাম গুলোর উপর থেকে কালো যে জামের শ্বাস(উপরের অংশ) রয়েছে তা ছাড়িয়ে নিতে হবে এবং তারপড় জামের বীজের উপরে একটা আবরন থাকে সেটিও ছাড়িয়ে নিতে হবে । এরপর এটি ভালমতো ধুয়ে নিয়ে রোধে শুকিয়ে নিতে হবে । ভালমতো শুকানো হলে এটিকে তারপড় ভাল ভাবে গুড়ো করে নিতে হবে ভাল করে গুঁড়ো করার পর চালুনিতে চেলে নিন। তারপর জামের বীজের গুঁড়ো একটি বায়ু-নিরোধক শিশিতে রেখে দিন এবং প্রয়োজন মতো ব্যবহার করুন। এক গ্লাস জলে এক চা-চামচ জামের বীজের গুঁড়ো মিশিয়ে রোজ সকালে খালি পেটে পান করুন।

জেনে রাখি জামের ঔষধি গুনাগুন:

১. ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ: ডায়াবিটিস নিয়ন্ত্রণে জামের বীজ খুবই উপকারী। ফল ও বীজ উভয়েই উপস্থিত জাম্বোলাইন ও জাম্বোসাইন নামক পদার্থ রক্তে শর্করার মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। জামের বীজও রক্তে ইনসুলিনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। জাম খাওয়া উপকারী। বীজগুলো শুকিয়ে গুঁড়ো করে প্রত্যেকদিন খালি পেটে খেলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকবে। আয়ুর্বেদী মতে জাম হল অ্যাসট্রিনজেন্ট অ্যান্টি-ডিউরেটিক, যা ঘন ঘন মূত্রত্যাগ কমাতে সাহায্য করে, হাইপোগ্লাইসেমিক গুণ আছে যা রক্তে শর্করার মাত্রা কমাতে সাহায্য করে, এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে পূর্ণ যা ডায়াবেটিসে উপকারী।

২. হৃদরোগ নিয়ন্ত্রণে: জামে থাকা পলিফেনল উপাদান ক্যানসার প্রতিরোধ ও হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়। নির্দিদ্ধায় একজন সুগার রুগী এই ফলটি খেতে পারেন। কালোজাম সুগার রুগীর রক্তে চিনির মাত্রা নিয়ন্ত্রনে রাখতে সাহায্য করে। মূলত কালোজামের বীজকে গুঁড়ো করে দিনে একবার যদি হাফ চামচ খাওয়া যায় সেটি এই রোগীদের জন্য স্বাস্থ্যকর। যাদের রক্তে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ কম তারা নিয়মিত এটি খেলে রক্তে হিমোগ্লোবিন মাত্রা বজায় থাকবে।

৩. মেহ রোগের চিকিৎসায়: প্রসাবের সাথে যাদের ধাতু নির্গত হয় এক্ষেত্রে জামের বীজ পাউডার ২৫ গ্রাম ফুল, ২৫০ মিলিলিটার পানিতে ভিজিয়ে পিষে বা বেটে নিতে হবে। এরপর মিহিন কাপড়ে ছেঁকে তাতে দ্বিগুণ মিছরী মিশিয়ে শরবত তৈরি করে বোতলে সংরক্ষণ করুন। এই সরবত প্রতিদিন সকালে ও সন্ধ্যায় ৩ চা–চামচ পরিমাণ খালি পেটে সেবন করলে মেহ রোগে আরাম পাওয়া যায়।

৪. রক্ত আমাশয়ে: জামের পাতার রস ৩ চা–চামচ পরিমাণ তাতে সমপরিমাণ ছাগীর দুধ মিশিয়ে সকাল–সন্ধ্যায় খালি পেটে সেবন করালে ৫–৭ দিনের মধ্যে রক্ত আমাশয় বন্ধ হয়ে যায়।

৫. অরুচিতে: পাকা জাম, বিট লবণ, কাঁচা মরিচ কুচি একত্রে মিশিয়ে ভর্তা বানিয়ে খেলে আহারের রুচি ফিরে আসে। 

৬. যকৃতের দুর্বলতায় :যকৃতের কার্যক্ষমতা বাড়াতে জামের সির্কা ৩ চা–চামচ পরিমাণ প্রতিদিন ৩ বেলা আহারের পর পর ১৫ দিন সেবন করলে উপকার পাওয়া যায়।

৭. পাকস্থলীর দুর্বলতায়: পাকস্থলীর দুর্বলতার কারণে যাদের খাবার ঠিকমত হজম হচ্ছে না, এক্ষেত্রে ১টি পিঁয়াজ কুচি এবং অর্ধেক আদা কুচি আধা কাপ জামের সির্কায় আধা ঘণ্টা ভিজিয়ে দুপুরে এবং রাতে আহারের মাঝে খেলে খাবার ভালভাবে হজম হয়।

৮ দাঁত নড়া ও মাড়ির দুর্বলতায়: জামের ছাল দাঁত নড়া এবং মাড়ির দুর্বলতায় পরিমাণমত নিয়ে ৩ গুণ পানিতে ভিজিয়ে সিদ্ধ করে অর্ধেক হলে ঐ পানির দ্বারা গড়গড়া করলে ৫–৭ দিনেই উপকার পাওয়া যায়। এছাড়াও জামে রয়েছে ভিটামিন-এ, ভিটামিন-সি, ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম ,ফসফরাসের মতো খনিজ উপাদান যা হাড়কে শক্ত সুস্থ্য ও স্বাভাবিক রাখে।

৯. পোড়া স্থানের সাদা দাগ সারাতে: জামের পাতা আগুনে পুড়ে কোন স্থান সাদা হয়ে থাকলে এক্ষেত্রে পিষে আগুনের পোড়া সাদা স্থানে প্রলেপ দিলে ঐ স্থান গায়ের স্বাভাবিক রঙের সাথে মিশে যায়। কিছুদিন ব্যবহার করলে সাদা চিহ্ন আর থাকে না, সেরে যায়।

১০. মাথার ঘায়ে: মাথায় ঘা হয়ে যাদের চুল পড়ে যাচ্ছে এমন অবস্থায় পাকা জামের বিচি ছাড়িয়ে রস ও মজ্জা দিয়ে মাথায় লেপ দিলে ১০–১৫ দিনের মধ্যেই ঘা শুকিয়ে যায় এবং মাথায় নতুন চুল গজায়।এছাড়াও জামের বীজে ক্যান্সার প্রতিরোধক উপাদন রয়েছে।






Customer Questions and answers :

Login to ask a question