Dalim Powder ( ডালিম গুড়া) - 100g

SKU: VJA52169
Seller: VesojE Agro

Tk 144
Tk 160
Tk 160
10% OFF


বিস্ময়কর হলেও সত্যি যে ডালিম পৃথিবীর সব থেকে স্বাস্থ্যকর ফলগুলোর মধ্যে অন্যতম। বাইরের খোসাগুলোও সরাসরি খাওয়া না গেলেও মানবদেহে ব্যবহারের জন্য বেশ উপযোগী। এই খোসায় আছে পিউনিক্যালেগিন্স নামক অত্যন্ত শক্তিশালী এক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। খোসা থেকে তৈরি করা ডালিমের নির্যাস এবং পাউডারে এই উপাদানের আধিক্যের জন্য এগুলোর স্বাস্থ্যকর উপযোগিতা অনেক। আজকের এই ফিচারের মাধ্যমে ডালিমের খোসার সেই গুরুত্বপূর্ণ ব্যবহার সম্পর্কে জানা যাবে।

ডালিমের খোসার ১০টি গুরুত্বপূর্ণ ব্যবহার

১.ফেস মাস্ক এবং স্ক্রাব হিসেবে: এর জন্য ডালিমের ছাড়ানো খোসা শুঁকিয়ে গেলে সেগুলো গুঁড়া করা হয়। তারপর এতে মধু এবং লেবু যোগ করে দারুণ একটি ফেস মাস্ক তৈরি করা যায়। শুধুই মুখের জন্যই নয়; শরীরের বিভিন্ন অংশে যেমন কনুই ও হাঁটুতে এটি স্ক্রাব হিসেবে ব্যবহার করলে ভালো ফল পাওয়া যায়।

২. হাড়ের স্বাস্থ্য বাড়াতে: এক গ্লাস গরম পানিতে দুই চামচ রোদে শুকানো ডালিমের খোসার গুঁড়া মিশিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নেয়া হয়। এতে এক চামচ লেবুর রস এবং এক ড্যাশ লবণ যোগ করলেই হয়ে যাচ্ছে মজাদার জুস। রাতে শোবার আগে এই পানীয় পান করা হাড়ের মজবুত করণে সহায়তা করে।

৩. বলিরেখা দূর করতে: এক চা চামচ ডালিমের খোসার গুঁড়া নিয়ে তাতে কয়েক ফোঁটা দুধ দিতে হবে। এরপর ভালো করে মিশিয়ে আলতো করে মুখে লাগাতে হবে। তৈলাক্ত ত্বকের জন্য দুধের পরিবর্তে গোলাপ জল যোগ করা যেতে পারে। মুখে লাগানোর পর তা শুকালে হালকা গরম জল দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। বলিরেখা দূরীকরণে ভালো ফল পেতে সপ্তাহে দুবার এই মাস্কটি ব্যবহার করা যেতে পারে।

৪.হজমের সুবিধায়: আধা কাপ রোদে শুকানো ডালিমের খোসা ৩০ মিনিটের জন্য জলে ভেজানো হয়। নরম হয়ে এলে একটি ব্লেন্ডারে রেখে এতে এক চা চামচ জিরা, তিন-চতুর্থাংশ কাপ বাটারমিল্ক, এক ড্যাশ রক সল্ট দিয়ে ব্লেন্ড করতে হবে। হজমের সমস্যা মোকাবিলায় সপ্তাহে অন্তত তিনবার এই মিশ্রণটি পান করা বেশ কার্যকরী।

৫.সূর্যালোক থেকে রক্ষায়: রোদে শুকানো ডালিমের খোসা দিয়ে পাউডার বানিয়ে তা একটি বায়ুরোধী পাত্রে সংরক্ষণ করতে হবে। লোশন বা ক্রিমের সাথে এই পাউডারটি মিশিয়ে বাসা থেকে বের হওয়ার ২০ মিনিট আগে ব্যবহার করলে তা সানস্ক্রিনের মতই কাজ দেবে। বিকল্পভাবে তেলের সাথে পাউডার মিশিয়ে মুখে লাগালেও তা প্রাকৃতিক সানস্ক্রিনের কাজ দেবে।

৬.মুখের ব্রণ এবং ফুসকুড়ি দূরীকরণে: রোদে শুকানো এক মুঠো ডালিমের খোসা একটি গরম তাওয়ায় ভেজে ঠাণ্ডা করতে হবে। অতঃপর সেগুলো ভালমতো পিষে তাতে লেবুর রস বা গোলাপ জল দিয়ে পাউডারের একটি পেস্ট তৈরি করতে হবে। এই পেস্টটি মুখে বিশেষ করে ব্রণের জায়গাগুলোতে লাগাতে হবে। কিছুক্ষণ শুকানোর পর হালকা গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলা যায়।

৭.চুল পড়া এবং খুশকি প্রতিরোধে: চুলে ব্যবহার করা তেলের সাথে শুকনো ডালিমের খোসার গুঁড়া মেশাতে হবে। এরপরে এটি চুলের গোড়ায় পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে ম্যাসাজ করার দুই ঘণ্টা পরে হালকা শ্যাম্পু করে চুল ধুয়ে ফেলা যায়। আবার সুবিধা অনুযায়ী সারারাত রেখেও দেয়া যায়। এতে কম সময়ের মধ্যেই চুল পড়া এবং খুশকি দূর হবে।

৮.গলা ব্যথার উপশমে: এক মুঠো রোদে শুকানো ডালিমের খোসা নিয়ে পানিতে ফুটিয়ে নিতে হবে। এবার মিশ্রণটি ছেঁকে কিছুক্ষণ ঠাণ্ডা করতে হবে। গলা ব্যথা এবং টনসিলের ব্যথা থেকে মুক্তি পেতে নিয়মিত এই জল দিয়ে গার্গল করা যেতে পারে।

৯.হৃদরোগ থেকে রক্ষায়: এক চা চামচ ডালিমের খোসার গুঁড়া এক গ্লাস গরম পানিতে মিশিয়ে প্রতিদিন পান করা হার্টের স্বাস্থ্য উন্নতি করতে পারে। এর সাথে সুষম খাদ্য এবং নিয়মিত ব্যায়ামকে যোগ করলে তা অসুস্থ হার্টকে ধীরে ধীরে পুনরুদ্ধার করতে সহায়তা করবে।

১০.দাঁতের স্বাস্থ্য উন্নতিতে: এক গ্লাস পানিতে এক চা চামচ রোদে শুকানো ডালিমের খোসার গুঁড়া মিশিয়ে তা দিনে দুবার গার্গল করা নিঃশ্বাসের দুর্গন্ধ থেকে মুক্তি দিতে যথেষ্ট। ডালিমের খোসার গুঁড়া দিয়ে মাড়ি ম্যাসাজ করা মাড়ি ফোলা, স্ফীত হওয়া এবং মাড়ি থেকে রক্তপাত হওয়া প্রতিরোধ করতে পারে। ডালিমের গুঁড়ার সাথে এক চিমটি কালো গোলমরিচের গুঁড়া মিশিয়ে সেই মিশ্রণটি আঙ্গুল দিয়ে দাঁতে লাগিয়ে কিছুক্ষণ রেখে দিলে তা দাঁতের ক্ষয় রোধ করে। প্রায় ১০ মিনিট পরে কুলি করে নেয়া যায়।

 

সতর্কতাঃ ডালিমের খোসা-গুঁড়া বা এর মিশ্রণের মাত্রাতিরিক্ত ব্যবহার উচিত নয়। বিশেষ করে যাদের এ ধরনের উদ্ভিদে অ্যালার্জি আছে, তাদের ক্ষেত্রে ডালিমের খোসার অনিয়ন্ত্রিত প্রয়োগ বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে।






Customer Questions and answers :

Login to ask a question